আনাড়ি
- মোঃ নাসির উদ্দীন - চেতনা কাব্য ০২-০৫-২০২৪

একটা সময় প্রান্ত শ্রেণির ছাত্র তুমি ছিলে
শিক্ষক, ছাত্র, পিতা-মাতার অনাদরে ছিলে।

পড়া লেখায় আনাড়ি ছিলে মন ছিলো না ভালো,
প্রতিদিনেই ভাবতে তুমি বদন করিয়ে কালো।

হঠাৎ এক দূত তোমায় টেনে নিলো,
তিন মাসেতেই সবার কাছে প্রিয় করে দিলো।

তুমি যখন ঢাকায় যাবে দেখলে কত ঢং
তোমার মনে লুকিয়ে ছিলো নান রঙের রং।

হঠাৎ তোমার সেই দূত বলে দিলো ফোনে,
আজকে তুমি চলে এসো উচ্চ শিক্ষার টানে।

খাবার-দাবার, চলা-ফেরার টাকা লাগতে কত
প্রতি মাসে সেই দূতের কষ্ট হতো শত।

তোমাকে মানুষ করার জন্য তার চেষ্টা ছিলো শত,
তাইতো তোমায় সর্ব কক্ষ পরিচিত করে দিত।

তোমার থাকা খাওয়ার জন্য সে যে সদয় ছিলো ব্যস্ত,
টিউশন, চাকুরি দিয়ে তোমায় খুশি রাখতো।

একদিন সেই দূত কামাই গেলো কমে,
তখন তোমার মেলা কামাই তারই প্রতিদানে।

একটি টাকা দিয়ে তুমি করতে না উপকার,
তোমায় নিয়ে ব্যস্ত ছিলে তুমি এখন কার।

তুমি এখন বড় হলে মনে কত রং
তোমায় দেখে পাড়ার লোকে করে কত ঢং।

কিছু দিনই পরে তোমার কামাই গেলো কমে,
তোমায় নিয়ে কানা-কানি করে কত জনে।

এই ভাবেই কেটে গেলে বছর বিবিধ গুণে,
পরের টাকায় চলতে হলো মন্দ কথা শুনে।

আবার তোমায় সে ফেরেশতা আসলো তোমার কাছে,
টাকা পয়সায় ভরিয়ে দিলো দুঃখ নাহি পিছে।

এখন তুমি কোটিপতি জ্ঞানের সমাহার,
ভেবে ছিলে তাকে এখন নাই প্রয়োজন আর।

তোমার এখন বন্ধু-বান্ধব টাকা ওয়ালা কত,
তোমার মনের শাখায়-শাখায় রঙিন স্বপ্ন শত শত।

চিন্তা করে দেখলে তুমি নেই প্রয়োজন আর,
এখন তাকে ফেলে দিলে সাত সাগরের ওপার।

যে তোমার পানে এতো করলো তাকে গেলে ভুলে,
তাকে তুমি চিনো না যে লোক সমাজের ভিড়ে।

রুমমেট বলে পরিচয় দিতে তোমার বন্ধুর সনে,
শুনে সে তো মনের কষ্টে কাঁদতো ক্ষণে-ক্ষণে।

তোমায় ছেড়ে চলে গেলো দেখনা চোখ মেলে,
হিসাব করে দেখ তুমি কত শান্তি পেলে।

তোমার প্রতি সদয় তার মন করে আন-চান,
তুমি এখন বড়ই দিলে তার প্রতিদান।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।